সূচিপত্র

ক্ষিপ্র কিবোর্ড
কনসেপ্ট ও ব্যবহার-নির্দেশিকা

ডকুমেন্টেশন সংস্করণ: ৫
প্রথম প্রকাশ: ২৪শে আগস্ট, ২০২৫
৫ম সংস্করণ (পরিমার্জিত): ১৮ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫

PDF Documentation | For Developers

লক্ষ্য, উদ্দেশ্য, ও পরিকল্পনা

  1. সর্বোচ্চ সম্ভাব্য দ্রুত গতিতে বাংলা লেখা। এবং সেটা অর্জন করতে যা যা করা হবে:
    1. শিফট key এর ব্যবহার পরিহার করা হবে
    2. প্রয়োজনীয় সকল key qwerty লেআউটের মধ্যেই রাখা হবে, এবং নিকটবর্তী সিম্বল ব্যবহার করা হবে যেমন: সেমিকোলন (;), স্ল্যাশ (/) ইত্যাদি ব্যবহার করা হবে যেগুলো মূল qwerty লেআউটে বর্ণগুলোর সাথেই অবস্থিত।
    3. টাচস্ক্রিনে অ্যাডাপটেশনের জন্য সাজেশন: নিচে উল্লেখ করা হয়েছে
  2. সব ধরনের প্রয়োজনীয় এবং কম প্রয়োজনীয় বর্ণ, যুক্তবর্ণ, ও গ্লিফ qwerty মূল লেআউট থেকে হাত না সরিয়েই লেখা যাবে। সেটা অর্জন করতে যা করা হবে:
    1. কি-সিকোয়েন্স বা কম্বিনেশন ব্যবহার করে প্রয়োজনীয়, কম প্রয়োজনীয় সকল কিছু লেখার ব্যবস্থা থাকবে। যেমন:
      ক → k, খ → kh,
      ত → t, থ → th, ট → tf,
      দাঁড়ি → “.”, বিন্দু বা ডট → “..”,
      ় (নুকতা) → “,,” (দুটি কমা), কিন্তু পরপর দুটি কমা দিতে → “,,,” (তিনটি কমা)।
      বিস্তারিত তালিকা নিচে দেওয়া আছে।

প্রচলিত ফিক্সড-ফোনেটিক পদ্ধতির সাথে ক্ষিপ্রর পার্থক্য

  1. বারবার শিফট চাপা থেকে মুক্তি।
  2. সব ধরনের প্রয়োজনীয়, কম প্রয়োজনীয় চিহ্ন হাতের কাছে।
  3. অ্যা ধ্বনিকে স্বর হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে। ae দিয়ে অ্যা লেখা যাবে এবং যেকোনো ব্যঞ্জনের পরে কারচিহ্ন হিসেবে যুক্ত করা যাবে। যেমন:
    র‍্যা = rae
  4. ট-বর্গীয় ব্যঞ্জনবর্ণগুলো টাইপ করার ক্ষেত্রে প্রচলিত ফিক্সড-ফোনেটিক এর সঙ্গে ক্ষিপ্রর পার্থক্য রয়েছে।
    ত-বর্গের ক্ষেত্রে:
    t = ত, th = থ, d = দ, dh = ধ;
    কিন্তু ট-বর্গের ক্ষেত্রে:
    tf = ট, {tff অথবা tfh} = ঠ, df = ড, {df অথবা dfh} = ঢ
  5. ঙ এবং ং এর ব্যবহার হবে কনটেক্সট ভিত্তিক:
    bangla = বাংলা, bangali = বাঙালি,
    ongk = অঙ্ক, ongg = অঙ্গ, ongfk = অংক
  6. সাজেশনের প্রতি কোনো নির্ভরশীলতা নেই, কোনো সাজেশন ছাড়াই দ্রুত লেখা যাবে। তবে চাইলে সাজেশন ব্যবহার করা যেতে পারে। (টাইপিং বুস্টারের কথা বারংবার উল্লেখ করার কারণ হলো এতে পরবর্তী একাধিক শব্দ সাজেশন হিসেবে আসতে পারে, তাই সাজেশন লেখার গতি না কমিয়ে উল্টো বাড়িয়ে দেয়।)
  7. যেখানেই সম্ভব হয়েছে নতুন-নতুন এবং সুবিধাজনক শর্টকাট তৈরি করার চেষ্টা করা হয়েছে। যেমন:
    ক্ষ = kkh অথবা kf,
    ট্ট = tftf এর পাশাপাশি ttf
  8. অভিনব কিছু ম্যাপিং আছে, যেমন: অ্যা কে স্বরধ্বনির মতো ব্যবহার করা যাবে:
    “ae” = অ্যা, “hae” = হ্যা

ম্যাপিংয়ের সংক্ষিপ্ত সারণি

স্বরবর্ণ

স্বরবর্ণম্যাপিং
o
a
i
ii
u
uu
q
e
oi
w
ou
অ্যাae

ব্যঞ্জনবর্ণ

ব্যঞ্জনবর্ণম্যাপিং
k
kh
g
gh
ng (যুক্ত), ngo (স্বাধীন)
c
ch
j
jh
n (যুক্ত), nff (স্বাধীন)
tf
tff, tfh
df
dff, dfh
nf
t
th
d
dh
n
p
ph
b
v
m
z
r
l
sh
sf
s
h
rf
rff
y
ক্ষkf, kkh, ksf
t/
ng, ngf (বিস্তারিত নিচে)
x
/

ক্ষিপ্র কনসেপ্টের কম্প্রিহেনসিভ বর্ণনা

TLDR, ক্ষিপ্র কনসেপ্ট সম্পর্কে আপনার আগে থেকেই ভালো ধারণা থাকলে আপনি সরাসরি ম্যাপিং সেকশনে চলে যেতে পারেন।

পৃথায়ক ও মডিফায়ার

পৃথায়ক

পৃথায়ক ব্যবহার করে একটা ম্যাপিংয়ের শেষ প্রান্ত নির্দেশ করা যায়। পৃথায়কের পরে যা-ই লেখা হবে সেটাকে নতুন শব্দের শুরু হিসেবে বিবেচনা করা হবে। আর ক্ষিপ্র-তে সেমিকোলন (;) হলো পৃথায়ক। এর ব্যবহার এরকম:
সাধারণ ভাবে ka = কা, কিন্তু মাঝে পৃথায়ক বসালে, k;a = কআ।
পৃথায়ককে যুক্তবর্ণ গঠন রোধ করতে ব্যবহার করা যায়। যেমন:
বুধবার = budh;bar
তবে যদি সম্ভাব্য যুক্তবর্ণ না থাকে তাহলে পৃথায়ক দেওয়া লাগবে না। যেমন:
লিখতে = likhte
একটা শব্দে যতবার ইচ্ছা পৃথায়ক ব্যবহার করা যাবে। এবং সেই পৃথায়কের পরে ক্ষিপ্র শব্দের শুরুর মতো আচরণ করবে।
(বি. দ্র. ক্ষিপ্রতে সেমিকোলন লিখতে হলে দুবার সেমিকোলন চাপতে হবে।)

মডিফায়ার

মডিফায়ার হিসেবে f ব্যবহৃত হবে।
যেমন; tf = ট।
মডিফায়ার হিসেবে / ব্যবহার করা হয়েছে ৎ লেখার জন্য। যেমন:
ৎ = t/
বিস্তারিত বর্ণনা নিচে দেওয়া হবে।

কারচিহ্ন ও স্বরবর্ণ লেখা

  1. ব্যঞ্জনবর্ণের পরে কারচিহ্ন অটো তৈরি হবে। যেমন:
    ka = কা
    1. তবে এই আচরণের ব্যতিক্রম চাইলে f যোগ করতে হবে। যেমন:
      kaf = কআ
    2. উপরের ব্যতিক্রম আচরণের আবার দুটি ব্যতিক্রম আছে: ঐ এবং ঔ লেখার ক্ষেত্রে।
      যেমন:
      boi = বৈ, কিন্তু, boif = বই (লক্ষ করুন, ‘বঐ’ নয়)।
      তেমনি:
      bou = বৌ, কিন্তু, bouf = বউ (‘বঔ’ নয়)।
      এমন আচরণ রাখার কারণ: ঐ শব্দগুলো লিখতে গেলে অনেকে ‘বই’ লিখতে গিয়ে ‘বৈ’ লিখে ফেলতে পারেন, যেটা তৎক্ষণাৎ ব্যাকস্পেস ছাড়াই (শুধু f যোগ করে) সংশোধন করতে পারবেন।
  2. শব্দের শুরুতে কিংবা স্বরবর্ণের (এবং কারচিহ্নের) পরে স্বরবর্ণের পূর্ণরূপ অটো তৈরি হবে।
    যেমন:
    ai = আই, khai = খাই।
    1. তবে এর ব্যতিক্রম চাইলে স্বরের আগে f যোগ করতে হবে।
      যেমন:
      khafi = খাি (আ কারের পরে জোর করে ই কার যোগ করানো হয়েছে)।
      এই আচরণের উপযোগিতা হচ্ছে ব্যঞ্জনের পরে কার চিহ্ন দিতে ভুলে গিয়ে স্পেস চেপে ফেললে; যেমন: ‘kak ’ = ‘কাক’ লেখার পরে যদি আ-কার যোগ করতে চাই, তবে শেষের k মোছা লাগবে না। ‘kak’ এর পরের স্পেস মুছে ‘fa’ লিখলেই ‘া’ যুক্ত হয়ে যাবে।
  3. বিশেষভাবে উল্লেখ্য যে, প্রচলিত কারচিহ্ন এবং স্বরবর্ণগুলোর পাশাপাশি ‘অ্যা’-কেও স্বর হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে। তাই উপরের নিয়মগুলো এটার ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে।
    যেমন:
    rae = র‍্যা, fae = ্যা
    1. ‍্যা একাধিক উপায়ে লেখা যাবে। যেমন:
      baekhza = ব্যাখ্যা
      (অর্থাৎ ব্যবহারকারী এটাকে তাঁর সুবিধামতো স্বরচিহ্ন কিংবা য-ফলায় আ-কার হিসেবে ট্রিট করতে পারবেন)
    2. র-এ য-ফলাও উপরের দুটি উপায়েই লেখা যাবে। যেমন:
      র‍্যা = rae অথবা rza
    3. অ্যা এর পাশাপাশি আরও কিছু অতিরিক্তকে স্বর হিসেবে ম্যাপ করা হয়েছে। যেমন:
      1. ওয়া = wa [ওয়াটার = watfar] [সোয়া = swa] [খাওয়া = khawa]
      2. ওয়ে = we [ওয়েদার = wedar] [সোয়েটার = swetfar]
      3. ওয়্যা = wae [সফটওয়্যার = sophtfwaer] লক্ষণীয় যে এই ৩য়টার ক্ষেত্রে কোনো সংক্ষিপ্ত রূপ রাখা হয়নি, যেমনটা আগের দুটোর ক্ষেত্রে আছে।

স্বচ্ছ রূপের কারচিহ্ন লেখা (শু / শ‌ু)

বেশ কিছু ফন্টে স্বরচিহ্ন অস্বচ্ছ রূপে লেখা হয়। যেমন: রু, রূ, হৃ ইত্যাদি ক্ষেত্রে কারচিহ্ন নিচে না বসে ডানপাশে বিশেষ রূপে এসেছে। এসব ক্ষেত্রে স্বাভাবিক নিয়মে কারচিহ্নগুলো লিখলে সেগুলো ফন্টের কারণেই অস্বচ্ছ রূপে আসবে। স্বচ্ছ রূপে লেখার জন্য কারচিহ্নের আগে ZWNJ ব্যবহার করতে হয়। এই কাজটি সহজে করার জন্য ক্ষিপ্র-তে বিশেষ ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

  1. অস্বচ্ছ রূপের পরিবর্তে জোর করে স্বচ্ছ রূপে স্বরচিহ্ন লিখতে স্বরচিহ্ন লেখার পরে ff যোগ করতে হবে। যেমন:
    রু = ru কিন্তু, র‌ু = ruff
    হৃ = hq কিন্তু, হ‌ৃ = hqff
  2. পূর্বে লেখা কোনো বর্ণের পরে স্বরচিহ্ন যোগ করতে স্বরের পূর্বে f ব্যবহার করা হয়। যেমন: া = fa.
    ঠিক তেমনিভাবে স্বচ্ছ রূপের কারচিহ্নগুলো লিখতে পূর্বে f যোগ করার পাশাপাশি পরেও f যুক্ত করতে হবে। যেমন:
    ু = fu, ZWNJ + ু = fuf

ং (অনুস্বার), এবং ঙ লেখা

  1. ng = ং এবং ngf = ং যেমন:
    বাংলা = bangla
    অঙ্ক = ongko
    অংক = ongfk অথবা ong;k
  2. ng এর পর স্বর এলে ঙ হবে। যেমন:
    বাঙালি = bangali
  3. তবে যুক্তবর্ণে ng দিয়ে ঙ হবে। যেমন:
    শঙ্খ = shongkh
    1. তবে উপরের আচরণের ব্যতিক্রম প্রয়োজন হলে ng এর পরে f অথবা পৃথায়ক বসাতে হবে। যেমন:
      সংখ্যা = songfkhza কিংবা song;khza

ঞ লেখা

  1. ঞ প্রায় সবসময়ই যুক্তবর্ণ রূপে আসে। সেক্ষেত্রে শুধু n দিয়েই ঞ লেখা যাবে। যেমন:
    ঞ্চ = nc [পঞ্চাশ = poncash]
    ঞ্জ = nj [ব্যঞ্জন = bznjon]
    ইত্যাদি।
  2. ঞ মুক্তভাবে আসলে nff দিয়ে লিখতে হবে। যেমন:
    ঞ = nff [মিঞা = minffa]
  3. বলা বাহুল্য, চাইলে nff দিয়েও যুক্তবর্ণে ঞ লেখা যাবে। তবে n দিয়েই লেখা সম্ভব হওয়ায় তার প্রয়োজন হবে না।

অন্যান্য ব্যঞ্জনবর্ণ লেখা

  1. মহাপ্রাণ বর্ণগুলো লিখতে h ব্যবহার করতে হবে। যেমন:
    খ = kh, ঘ = gh
  2. ট-বর্গীয় বর্ণগুলো লিখতে f ব্যবহার করতে হবে। যেমন:
    ট = tf, ড = df
    ঠ = tff, ঢ = dff
    1. চাইলে h ব্যবহার করেও ট-বর্গীয় মহাপ্রাণ বর্ণগুলো লেখা যাবে। যেমন:
      ঠ = tfh
      ঢ = dfh
  3. শ, ষ, স লেখার নিয়ম:
    শ = sh
    ষ = sf
    স = s
  4. ন, ণ লেখা:
    ন = n
    ণ = nf
  5. ড়, ঢ় লেখা:
    ড় = rf
    ঢ় = rff
  6. হ়, জ় ইত্যাদি লেখার জন্য নুকতার ব্যবহার করতে হবে। নুকতা ক্ষিপ্রতে দুই কমা ব্যবহার করে দেওয়া যায়। যেমন:
    জ় = j,, [সিরিজ় = sirij,,]
    বি.দ্র. কেউ দুই কমা লিখতে চাইলে তিন কমা দিয়ে দুই কমা লেখা যাবে। যেমন:
    ,, = ,,,
  7. ক্ষ লেখা: ক্ষ যদিও যুক্তবর্ণ তবুও এখানেও আলোচনা করা হচ্ছে। ক্ষ তিনভাবে লেখা যাবে: ক্ষ = kf, kkh, ksf. যেকোনো সুবিধাজনক উপায়ে লিখতে পারবেন।

চন্দ্রবিন্দু (ঁ ), বিসর্গ (ঃ), অনুস্বার (ং), খণ্ড-ত (ৎ) ইত্যাদি লেখা

  1. চন্দ্রবিন্দু লিখতে স্ল্যাশ (/) ব্যবহার করা হবে। যেমন:
    চাঁদ = ca/d
  2. বিসর্গ লিখতে x ব্যবহার করা হবে। যেমন:
    দুঃখ = duxkh
  3. অনুস্বার লেখার নিয়ম আলাদাভাবে আলোচিত হয়েছে।
  4. খণ্ড-ত (ৎ) লিখতে t/ ব্যবহার করা হবে। যেমন:
    উৎস = ut/s

নুকতা (় ) দেওয়া

কোনো বর্ণের নিচে নুকতা দিতে দুই কমা ব্যবহার করা হবে। যেমন:
হ় = h,,
তবে দুই কমা লিখতে তিন কমা ব্যবহার করা হবে। (পূর্বেও আলোচিত হয়েছে)

হসন্ত লেখা

  1. বাংলা ভাষায় প্রচলিত যেকোনো যুক্তবর্ণ গঠনের জন্য ক্ষিপ্রতে আলাদা করে হসন্ত ব্যবহার করার প্রয়োজন হবে না। সেসব যুক্তবর্ণ আপনিই গঠিত হবে। যেমন:
    ক্ক = kk, ম্ন = mn, ইত্যাদি।
    (যুক্তবর্ণের পূর্ণাঙ্গ তালিকা নিচে সংযুক্ত আছে।)
  2. কোনো যুক্তবর্ণ গঠনের পরিবর্তে হসন্ত সহ যুক্তবর্ণ গঠনকারী বর্ণগুলো ভেঙে দেখাতে চাইলে বর্ণগুলোর মাঝে xx বসাতে হবে। তাহলে হসন্ত বসার পাশাপাশি একটি ZWNJ বসে যাবে এবং ফলশ্রুতিতে যুক্তবর্ণটি ভেঙে দেখাবে। যেমন:
    উদ্‌দীন = udxxdiin
  3. শুধু হসন্ত লিখতে qq ব্যবহার করতে হবে। যেমন:
    ্ = qq
    1. অতি অপ্রচলিত যুক্তবর্ণ লিখতে এই হসন্ত ব্যবহার করা যেতে পারে। যেমন:
      কিল্ন = kilqqn

রেফ লেখা

রেফ লেখার জন্য ব্যঞ্জনবর্ণের আগে rr ব্যবহার করতে হবে। যেমন:
অর্ক = orrk

র-ফলা ও য-ফলা লেখা

যেকোনো ব্যঞ্জনবর্ণ ও যুক্তবর্ণের পরে র-ফলা ও য-ফলা লেখার জন্য কেবল r এবং z ব্যবহার করতে হবে। যেমন:
র‍্য = rz
ক্র = kr
ক্ষ্য = kfz
ক্ষ্র = kfr

ব-ফলা লেখা

ব-ফলাকে অন্যান্য যুক্তবর্ণের মধ্যে রাখা হয়েছে। অর্থাৎ ব-ফলার জন্য আলাদা ম্যাপিং রাখা হয়নি। ব এবং ব-ফলা উভয়ের জন্য b ব্যবহার করতে হবে। যেমন:
বল = bol
ধ্বনি = dhbni
যেহেতু b একই সাথে ব এবং ব-ফলা উভয়ের জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে, তাই কোথাও ব-ফলা এড়াতে পৃথায়ক ব্যবহার করতে হবে। যেমন:
বুধবার = budh;bar

ক্ষ লেখা

ক্ষ তিনভাবে লেখা যাবে: kf, kkh, ksf. যেমন:
অক্ষ = okf
অক্ষ = okkh
অক্ষ = oksf

জ্ঞ এবং গ্গ লেখা

  1. জ্ঞ বহুল ব্যবহৃত একটি যুক্তবর্ণ হওয়ায় এটি লেখার একটা শর্টকাট রাখা হয়েছে। তাই জ্ঞ মোট দুই ভাবে লেখা যাবে:
    1. jnff → জ্ঞ (যেটা জ+ঞ=জ্ঞ এই যুক্তিতে রাখা হয়েছে।)
    2. শর্টকাট: gg → জ্ঞ (যেটা উচ্চারণের যুক্তিতে রাখা হয়েছে।)
      উদাহরণ:
      বিজ্ঞান = biggan
  2. gg তে জ্ঞ রাখার কারণে গ্গ এই যুক্তবর্ণটির জন্য ভিন্ন ব্যবস্থা করা হয়েছে।
    উল্লেখ্য যে: গ্গ এই যুক্তবর্ণটি বাংলা একাডেমির প্রস্তুতকৃত যুক্তবর্ণ তালিকা— “বাংলা যুক্তব্যঞ্জনের তালিকা ও ধ্বনিচিহ্ন” এই তালিকার অন্তর্ভুক্ত নয়; কেননা এই যুক্তবর্ণটি বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত হয় না। তবে কিছু শব্দের আঞ্চলিক উচ্চারণ লিখতে এই যুক্তবর্ণটি কেউ ব্যবহার করতে চাইতে পারেন।
    যেমন: ‘দুগগা’ শব্দটি ‘দুর্গা’ শব্দের আঞ্চলিক উচ্চারণ হতে পারে। সেক্ষেত্রে কেউ সেটিকে ‘দুগ্গা’ আকারে লিখতে চাইতে পারেন।
    গ্গ দুইভাবে লেখা যাবে:
    1. গ্গ = gqqg
      এই নিয়মটি হসন্ত লেখার নিয়মে উল্লেখ করা হয়েছে। জোরপূর্বক যেকোনো অতি অপ্রচলিত যুক্তবর্ণ লেখার জন্যই এই নিয়মটি প্রযোজ্য। যেমন:
      দুগ্গা = dugqqga
    2. গ্গ = ggg
      এই যুক্তবর্ণটি সহজে লেখার জন্য এই শর্টকাটটি রাখা হয়েছে। যেমন:
      দুগ্গা = duggga

ড্ড ও ট্ট লেখা

ট-বর্গীয় ব্যঞ্জনগুলো লিখতে f ব্যবহার করা হয়। এটা পূর্বে আলোচিত হয়েছে। ড্ড ও ট্ট লিখতে যথাক্রমে dfdf ও tftf লাগায় অর্থাৎ ৪টি কিস্ট্রোক লাগায় এই দুই যুক্তবর্ণের জন্য শর্টকাট আনা হয়েছে। তাই ড্ড ও ট্ট দুই ভাবে লেখা যাবে:

  1. ত্ত লিখতে tt, এবং দ্দ লিখতে dd ব্যবহার করা হয়। এগুলোর পরে শুধু একটা f যুক্ত করলেই এগুলো দন্তমূলীয় (অর্থাৎ, ট-বর্গীয় হয়ে যাবে)। যেমন:
    ট্ট = ttf
    ড্ড = ddf
  2. আর স্বাভাবিক নিয়মে তো লেখা যাবেই। যেমন:
    ট্ট = tftf
    ড্ড = dfdf

অন্যান্য যুক্তবর্ণ

  1. অন্যান্য সকল যুক্তবর্ণ লেখার জন্য কেবল যেসব ব্যঞ্জনবর্ণ দিয়ে ঐ যুক্তবর্ণ গঠিত হয়েছে সেগুলো পরপর লিখলেই হবে (রেফ ব্যতীত)। যেমন:
    ক্ক = kk
    ক্ত = kt
    ক্ট = ktf
    স্ব = sb
    ন্ম = nm
    সকল যুক্তবর্ণের পূর্ণাঙ্গ তালিকা নিচে সংযুক্ত করা হবে।
  2. যেখানে যুক্তবর্ণ গঠন সম্ভব সেখানে যুক্তবর্ণ গঠন রোধ করার জন্য পৃথায়ক ব্যবহার করতে হবে। যেমন:
    গলপো = gol;pw
    অংক = ong;k
    তবে চাইলে o ব্যবহার করেও সেটা করা যায়। যেমন:
    খবর = khobor
    আর যেখানে যুক্তবর্ণ গঠন সম্ভব নয় সেখানে পৃথায়ক ব্যবহার না করলেও চলবে। যেমন:
    লিখতে = likhte
    ঠিকঠাক = tffiktffak

বিযুক্ত যুক্তবর্ণ

বাংলা একাডেমির নির্দেশনা অনুযায়ী কিছু কিছু যুক্তবর্ণ বিযুক্ত রূপে লেখা লাগে।
যেমন: উদ্বায়ী অশুদ্ধ বানান (কেননা এতে মনে হয় এটার উচ্চারণ /উদ্‌দায়ি/, যেটা সত্য নয়। শব্দটির উচ্চারণ /উদ্‌বায়ি/ এবং সঠিক বানান উদ্‌বায়ী।
দ+ব এর দুটি রূপ রয়েছে। নিচে এটা নিয়ে আলোচনা করা হলো।

দ+ব এর দুই রূপ

দ + ব = দ্‌ব [যেমন: উদ্‌বায়ী]
কিন্তু, দ + অন্তঃস্থ ব = দ্ব [যেমন: দ্বারা]
ক্ষিপ্রতে এদেরকে নিম্নরূপে লেখা যাবে:
দ্ব = db
দ্‌ব = dxxb

অন্যান্য বিযুক্ত যুক্তবর্ণ

অন্যান্য যেসব যুক্তবর্ণ বিযুক্ত রূপে লেখার নিয়ম সেগুলোর প্রায় সবগুলোরই কেবল বিযুক্ত রূপটাই আছে, যুক্ত রূপ নেই।
যেমন: উদ্‌গীরণ, খড়্‌গ, ইত্যাদি।
এগুলো লেখার জন্য xx ব্যবহার করা লাগবে না।
এগুলোর ম্যাপিং নিম্নরূপ:
গ্‌ণ = gnf
ঙ্‌ক্ত = ngkt
ড়্‌গ = rfg
দ্‌গ = dg
দ্‌ঘ = dgh

দাঁড়ি, কমা, সেমিকোলন, ও অন্যান্য চিহ্ন

  1. দাঁড়ি দিতে fullstop ব্যবহার করা হবে। যেমন:
    কথা। = kotha.
  2. বিন্দু বা ডট বা ফুলস্টপ দিতে দুইবার ডট দিতে হবে। যেমন:
    বি. দ্র. = bi.. dr..
  3. বহুবিন্দু বা এলিপসিস বা তিন বিন্দু দিতে তিনবার ডট দিতে হবে। যেমন:
    জানি… = jani…
  4. কমা স্বাভাবিকভাবে দেওয়া যাবে।
  5. সেমিকোলন যেহেতু পৃথায়ক হিসেবে ব্যবহৃত হবে তাই সেমিকোলন দিতে হলে দুবার সেমিকোলন দিতে হবে। যেমন:
    ; = ;;
  6. স্ল্যাশ (/) যেহেতু চন্দ্রবিন্দু হিসেবে ব্যবহৃত হবে তাই স্ল্যাশ লিখতে দুবার স্ল্যাশ দিতে হবে। যেমন:
    / = //
  7. গুণ চিহ্ন ও ভাগ চিহ্ন দেওয়া:
    1. গুণ চিহ্ন দিতে +f লিখতে হবে। যেমন:
      ২×২ = 2+f2
    2. ভাগ চিহ্ন দিতে -f লিখতে হবে। যেমন:
      ২÷২ = 2-f2
  8. টাকা চিহ্ন দিতে $ দিতে হবে। যেমন:
    ২৳ = 2$
  9. রুপি চিহ্ন দিতে $f দিতে হবে। যেমন:
    ২₹ = 2$f

বাংলা অঙ্ক ও দশমিক বিন্দু

  1. ইংরেজি অঙ্ক লিখলে সেগুলোই বাংলা অঙ্ক হয়ে যাবে। যেমন:
    ১২৩ = 123
  2. দশমিক বিন্দু দিতে আলাদা করে কিছু করতে হবে না। কোনো অঙ্কের আগে দশমিক বিন্দু অটো তৈরি হবে। যেমন:
    ১.১ = 1.1
    .০১ = .01

ZWNJ ও ZWJ এর ব্যবহার

  1. ZWNJ (zero width non-joiner) দিয়ে, সাধারণভাবে যুক্ত হয়ে যাওয়া গ্লিফকে বিযুক্ত করে লেখা হয়। যেমন: শ তে উ-কার দিলে বেশিরভাগ ফন্ট সেটাকে যুক্ত করে দিয়ে অস্বচ্ছ গ্লিফে লেখে (যেমন: শু)।
    স্বচ্ছ আকারে স্বরচিহ্ন লেখার জন্য ক্ষিপ্রতে শর্টকাট রাখা হয়েছে। যেমন:
    রু = ru কিন্তু, র‌ু = ruff
  2. শব্দের মাঝে হসন্ত দেখাতে ZWNJ ব্যবহৃত হয়। হসন্তের কাজ যুক্তবর্ণ তৈরি করা। একাধিক ব্যঞ্জনবর্ণের মাঝে হসন্ত এলে বর্ণগুলো যুক্তবর্ণে পরিণত হয়। ফলে হসন্তকে দেখা যায় না। হসন্তের পরে ZWNJ ব্যবহার করা হলে হসন্ত যুক্তবর্ণ তৈরি করতে পারে না। ফলে হসন্তকে স্পষ্ট রূপে দেখা যায়। যেমন:
    উদ + ্ + zwnj + দীন = উদ্‌দীন [ক্ষিপ্রতে xx (দুইবার x ) লিখে এই কাজটি সহজেই করা যাবে। udxxdiin → উদ্‌দীন]
  3. ZWJ (zero width joiner) কোথাও কোনো কম্বিনেশনে একাধিক স্থানে যুক্ত করা সম্ভব হলে কোন দুটি বর্ণকে যুক্ত করা হবে তা নির্দিষ্ট করে দিতে ব্যবহৃত হয়। যেমন:
    র ও য এর মাঝে হসন্ত দিলে তা র্য (য-এর উপর রেফ) হয়ে যায়। তাই র‍্য একটি বিশেষ নিয়মে লিখতে হয়। এজন্য র‍্য লেখার সময় র-এর পরে এবং হসন্তের আগে ZWJ ব্যবহার করা হয়। এতে প্রথমত এটি র, ্, এবং য -কে দুটি গ্রুপে ভাগ করে দেয়, এবং একই সাথে এটি ‘র’ কে পরবর্তী গ্রুপের সাথে যুক্ত করে দেয়। যেমন:
    র + zwj + ্ + য = র‍্য [ক্ষিপ্রতে এটা কেবল rz দিয়েই লেখা যায়। তবে চাইলে r;~~;qqz এভাবেও লেখা যাবে]
    উপরে ব্যবহৃত “~~” হলো zwj এর জন্য ক্ষিপ্র-র ম্যাপিং। ক্ষিপ্র-র পূর্ণাঙ্গ ম্যাপিং সেকশনে এর উল্লেখ রয়েছে।
  4. যুক্তবর্ণ গঠনে কাল্পনিক (বা অদৃশ্য) বর্ণ হিসেবে ZWJ ব্যবহার করা যায়। ফলে প্রথম বর্ণের ছোটো রূপ দেখা যায়। যেমন:
    ক + ্ + ZWJ = ক্‍ [ক্ষিপ্রতে এটা লিখতে kqq~~ লিখতে হবে।]
  5. বিশেষ কোনো ক্ষেত্রে ZWNJ লিখতে চাইলে `` (দুটি ব্যাকটিক) দিয়ে লেখা যাবে।

ইনস্টলেশন

বিভিন্ন সিস্টেমে ক্ষিপ্র কিবোর্ড ইনস্টলেশনের পদ্ধতির লিংক ক্ষিপ্র-র ওয়েবসাইটে দেওয়া আছে।

ক্ষিপ্র ম্যাপিংয়ের পূর্ণাঙ্গ সারণী

স্বরবর্ণ ও স্বরচিহ্ন

ইনপুটআউটপুটউদাহরণ
oomor → অমর
aআ, াamar → আমার, kaka → কাকা
iই, িiti → ইতি, ki → কি
iiঈ, ীiid → ঈদ, kii → কী
uউ, ুui → উই, oju → অজু
uuঊ, ূuuru → ঊরু, kuup → কূপ
qঋ, ৃqju → ঋজু, kqtii → কৃতী
eএ, েebar → এবার, ke → কে
oiঐ, ৈoik → ঐক, koi → কৈ
wও, োwstad → ওস্তাদ, kwn → কোন
ouঔ, ৌoucitz → ঔচিত্য, nou → নৌ
aeঅ্যা, ্যাaep → অ্যাপ, maep → ম্যাপ
aefঅ্যাhwatfsaefp → হোয়াটসঅ্যাপ
waওয়া, োয়াwatfar → ওয়াটার, dhwa → ধোয়া
weওয়ে, োয়েwedar → ওয়েদার, swetfar → সোয়েটার
waeওয়্যাharrdfwaer → হার্ডওয়্যার

স্বরবর্ণ ও স্বরচিহ্ন টিপ্‌স

ইনপুটআউটপুটউদাহরণ
o(অ-কার)kol → কল, oto → অত
;পৃথায়ক ও যুক্তবর্ণ রোধকam;ar → আমআর, chok;ka → ছককা
f{কার}শব্দের শুরুতে কারচিহ্নের বদলে স্বরবর্ণ আসা রোধ করবে।far → ার
{ব্যঞ্জন}oif{ব্যঞ্জন} ইboif → বই
{ব্যঞ্জন}ouf{ব্যঞ্জন} উbouf → বউ
{ব্যঞ্জন}{কার}f{ব্যঞ্জন}{স্বরবর্ণ} (ঐ, ঔ বাদে)bif → বই
{কার}ffস্বচ্ছ স্টাইলের কারচিহ্নruup → রূপ, ruuffp → র‌ূপ

ব্যঞ্জনবর্ণ

ইনপুটআউটপুটউদাহরণ
kkolom → কলম, k;l;m → কলম
khkhata → খাতা
ggarfi → গাড়ি
ghghor → ঘর, gh;r → ঘর
ngo, nga, …rongo → রঙ, ranga → রাঙা, rangga → রাঙ্গা, ongk → অঙ্ক, কিন্তু ongfk → অংক
cca → চা
chchata → ছাতা
jjadughor → জাদুঘর
jhjhorf → ঝড়
nffminffa → মিঞা, কিন্তু jhonjha → ঝঞ্ঝা
tftfaka → টাকা, কিন্তু ottf → অট্ট
tff, tfhtffandfa, tfhandfa → ঠান্ডা
dfodfitf → অডিট, কিন্তু addfa → আড্ডা
dff, dfhdffaka, dfhaka → ঢাকা
nfboronf → বরণ
ttumi → তুমি, twmar → তোমার
ththaka → থাকা
dd;i → দই, dif → দই
dhdhakka → ধাক্কা, dhbni → ধ্বনি
nnombor → নম্বর, n;mb;r → নম্বর
ppakhi → পাখি
phphol → ফল
bbarfi → বাড়ি
vvorpur → ভরপুর
mmatfi → মাটি
zzokhon, zkhn → যখন
rrong → রং
llav → লাভ
shshobd → শব্দ
sfsusfom → সুষম
ssob → সব
hhawa → হাওয়া
yupay → উপায়
rfjwrfa → জোড়া
rffasfarff → আষাঢ়

বিশেষ কিছু যুক্তবর্ণ এবং বিবিধ

ইনপুটআউটপুটউদাহরণ
rrরেফgorrb → গর্ব, porrzay → পর্যায়
rzর‍্যrzam → র‍্যাম, raem → র‍্যাম
kf, kkh, ksfক্ষshikfa → শিক্ষা, diikfa → দীক্ষা
ncঞ্চoncol → অঞ্চল, poncash → পঞ্চাশ
nchঞ্ছbancha → বাঞ্ছা
njঞ্জgunjon → গুঞ্জন, bznjon → ব্যঞ্জন
njhঞ্ঝjhonjhatf → ঝঞ্ঝাট
gg, jnffজ্ঞggan → জ্ঞান, biggan → বিজ্ঞান
gggগ্গduggga → দুগ্গা
ttf, tftfট্টottf → অট্ট, cottfgram → চট্টগ্রাম
ddf, dfdfড্ডaddfa → আড্ডা
sfkষ্কshusfk → শুষ্ক
sftfষ্টmisftfi → মিষ্টি
sftff, sftfhষ্ঠkasftff, kasftfh → কাষ্ঠ
sfn, sfnfষ্ণusfn → উষ্ণ
sfpষ্পbasfp → বাষ্প
sfphষ্ফnisfphol → নিষ্ফল
qq্ (হসন্ত)জোরপূর্বক যুক্তবর্ণ গঠন করতে, kilqqn → কিল্ন
xx্‌ {ZWNJ}হসন্ত সাথে ZWNJ. যুক্তবর্ণ গঠন করবে না এমন হসন্ত। শব্দের মাঝে হসন্ত দেখাতে, udxxdiin → উদ্‌দীন
``[ZWNJ]হসন্তের যুক্তবর্ণ গঠন রোধ করে—যা ঠিক এর উপরের ঘরেই আলোচিত হয়েছে। এছাড়া স্বচ্ছ স্টাইলের কারচিহ্ন লিখতে এটি ব্যবহৃত হয়।
~~[ZWJ]র‍্য লিখতে এবং যুক্তবর্ণের সংক্ষিপ্ত গ্লিফ লিখতে এটি ব্যবহৃত হয়।

ডায়াক্রিটিক, বিরামচিহ্ন, ও বিবিধ

ইনপুটআউটপুটমন্তব্য/উদাহরণ
t/খণ্ড-ত, ut/s → উৎস; কিন্তু to/ ও t;/ → তঁ
xবিসর্গ, duxkh → দুঃখ
ng, ngfঅনুস্বার, bangla → বাংলা, baengfk → ব্যাংক
/চন্দ্রবিন্দু, ca/d → চাঁদ
.দাঁড়ি
.fডাবল দাঁড়ি
.ffঈশ্বর চিহ্ন
ooঅবগ্রহ
,,নুকতা, sirij,, → সিরিজ়, h,,asan → হ়াসান
...ডট বা বিন্দু। বি.দ্র. → bi..dro..
বহুবিন্দু বা এলিপসিস বা তিন ডট
,,,,,পরপর দুইবার কমা
;;;সেমিকোলন
///ফরওয়ার্ড স্ল্যাশ
.{অঙ্ক}.{অঙ্ক}3.1416 → ৩.১৪১৬
$টাকা চিহ্ন
$fরুপি চিহ্ন
+f×গুণ চিহ্ন
-f÷ভাগ চিহ্ন

যুক্তবর্ণের পূর্ণাঙ্গ তালিকা

যুক্তবর্ণম্যাপিংগঠন
র‍্যrzর‍+য
ক্কkkক+ক
ক্টktfক+ট
ক্ট্রktfrক+ট+র
ক্তktক+ত
ক্ত্রktrক+ত+র
ক্বkbক+ব
ক্মkmক+ম
ক্যkzক+য
ক্রkrক+র
ক্লklক+ল
ক্ষkfক+ষ
ক্ষksfক+ষ
ক্ষkkhক+ষ
ক্ষ্ণkfnfক+ষ+ণ
ক্ষ্ণkfnক+ষ+ণ
ক্ষ্ণksfnfক+ষ+ণ
ক্ষ্ণksfnক+ষ+ণ
ক্ষ্ণkkhnক+ষ+ণ
ক্ষ্ণkkhnfক+ষ+ণ
ক্ষ্বkfbক+ষ+ব
ক্ষ্বksfbক+ষ+ব
ক্ষ্বkkhbক+ষ+ব
ক্ষ্মkfmক+ষ+ম
ক্ষ্মkkhmক+ষ+ম
ক্ষ্মksfmক+ষ+ম
ক্ষ্যkfzক+ষ+য
ক্ষ্যksfzক+ষ+য
ক্ষ্যkkhzক+ষ+য
ক্সksক+স
খ্যkhzখ+য
খ্রkhrখ+র
গ্গgggগ+গ
গ্‌ণgnfগ+‌ণ
গ্ধgdhগ+ধ
গ্ধ্যgdhzগ+ধ+য
গ্ধ্রgdhrগ+ধ+র
গ্নgnগ+ন
গ্ন্যgnzগ+ন+য
গ্বgbগ+ব
গ্মgmগ+ম
গ্যgzগ+য
গ্রgrগ+র
গ্র্যgrzগ+র+য
গ্লglগ+ল
ঘ্নghnঘ+ন
ঘ্রghrঘ+র
ঙ্কngkঙ+ক
ঙ্‌ক্তngktঙ+‌ক+ত
ঙ্ক্যngkzঙ+ক+য
ঙ্ক্রngkrঙ+ক+র
ঙ্ক্ষngkkhঙ+ক+ষ
ঙ্ক্ষngksfঙ+ক+ষ
ঙ্খngkhঙ+খ
ঙ্গnggঙ+গ
ঙ্গ্যnggzঙ+গ+য
ঙ্ঘngghঙ+ঘ
ঙ্ঘ্যngghzঙ+ঘ+য
ঙ্ঘ্রngghrঙ+ঘ+র
ঙ্মngmঙ+ম
চ্চccচ+চ
চ্ছcchচ+ছ
চ্ছ্বcchbচ+ছ+ব
চ্ছ্রcchrচ+ছ+র
চ্ঞcnffচ+ঞ
চ্বcbচ+ব
চ্যczচ+য
জ্জjjজ+জ
জ্জ্বjjbজ+জ+ব
জ্ঝjjhজ+ঝ
জ্ঞjnffজ্ঞ
জ্ঞggজ্ঞ
জ্বjbজ+ব
জ্যjzজ+য
জ্রjrজ+র
ঞ্চncঞ+চ
ঞ্চnffcঞ+চ
ঞ্জnjঞ+জ
ঞ্জnffjঞ+জ
ঞ্ঝnjhঞ+ঝ
ঞ্ঝnffjhঞ+ঝ
ঞ্ছnchঞ+ছ
ঞ্ছnffchঞ+ছ
ট্টttfট+ট
ট্টtftfট+ট
ট্বtfbট+ব
ট্মtfmট+ম
ট্যtfzট+য
ট্রtfrট+র
ড্ডddfড+ড
ড্ডdfdfড+ড
ড্বdfbড+ব
ড্যdfzড+য
ড্রdfrড+র
ড়্‌গrfgড়+‌গ
ঢ্যdffzঢ+য
ঢ্যdfhzঢ+য
ঢ্রdffrঢ+র
ঢ্রdfhrঢ+র
ণ্টnftfণ+ট
ণ্ঠnftffণ+ঠ
ণ্ঠnftfhণ+ঠ
ণ্ঠ্যnftffzণ+ঠ+য
ণ্ঠ্যnftfhzণ+ঠ+য
ণ্ডnfdfণ+ড
ণ্ড্যnfdfzণ+ড+য
ণ্ড্রnfdfrণ+ড+র
ণ্ঢnfdffণ+ঢ
ণ্ঢnfdfhণ+ঢ
ণ্ণnfnfণ+ণ
ণ্ণnfnণ+ণ
ণ্বnfbণ+ব
ণ্মnfmণ+ম
ণ্যnfzণ+য
ত্তttত+ত
ত্ত্বttbত+ত+ব
ত্ত্যttzত+ত+য
ত্থtthত+থ
ত্নtnত+ন
ত্বtbত+ব
ত্মtmত+ম
ত্ম্যtmzত+ম+য
ত্যtzত+য
ত্রtrত+র
ত্র্যtrzত+র+য
থ্বthbথ+ব
থ্যthzথ+য
থ্রthrথ+র
দ্‌গdgদ+‌গ
দ্‌ঘdghদ+‌ঘ
দ্দddদ+দ
দ্দ্বddbদ+দ+ব
দ্ধddhদ+ধ
দ্বdbদ+ব
দ্ভdvদ+ভ
দ্ভ্রdvrদ+ভ+র
দ্মdmদ+ম
দ্যdzদ+য
দ্রdrদ+র
দ্র্যdrzদ+র+য
ধ্নdhnধ+ন
ধ্বdhbধ+ব
ধ্মdhmধ+ম
ধ্যdhzধ+য
ধ্রdhrধ+র
ন্টntfন+ট
ন্ট্রntfrন+ট+র
ন্ঠntffন+ঠ
ন্ঠntfhন+ঠ
ন্ডndfন+ড
ন্ড্রndfrন+ড+র
ন্তntন+ত
ন্ত্বntbন+ত+ব
ন্ত্রntrন+ত+র
ন্ত্র্যntrzন+ত+র+য
ন্থnthন+থ
ন্থ্রnthrন+থ+র
ন্দndন+দ
ন্দ্বndbন+দ+ব
ন্দ্যndzন+দ+য
ন্দ্রndrন+দ+র
ন্ধndhন+ধ
ন্ধ্যndhzন+ধ+য
ন্ধ্রndhrন+ধ+র
ন্নnnন+ন
ন্বnbন+ব
ন্মnmন+ম
ন্যnzন+য
ন্সnsন+স
প্টptfপ+ট
প্তptপ+ত
প্নpnপ+ন
প্পppপ+প
প্যpzপ+য
প্রprপ+র
প্লplপ+ল
প্সpsপ+স
ফ্রphrফ+র
ফ্লphlফ+ল
ব্জbjব+জ
ব্দbdব+দ
ব্ধbdhব+ধ
ব্বbbব+ব
ব্যbzব+য
ব্রbrব+র
ব্লblব+ল
ভ্বvbভ+ব
ভ্যvzভ+য
ভ্রvrভ+র
ভ্লvlভ+ল
ম্নmnম+ন
ম্পmpম+প
ম্প্রmprম+প+র
ম্ফmphম+ফ
ম্বmbম+ব
ম্ব্রmbrম+ব+র
ম্ভmvম+ভ
ম্ভ্রmvrম+ভ+র
ম্মmmম+ম
ম্যmzম+য
ম্রmrম+র
ম্লmlম+ল
য্যzzয+য
ল্কlkল+ক
ল্ক্যlkzল+ক+য
ল্গlgল+গ
ল্টltfল+ট
ল্ডldfল+ড
ল্পlpল+প
ল্ফlphল+ফ
ল্বlbল+ব
ল্‌ভlvল+‌ভ
ল্মlmল+ম
ল্যlzল+য
ল্লllল+ল
শ্চshcশ+চ
শ্ছshchশ+ছ
শ্নshnশ+ন
শ্বshbশ+ব
শ্মshmশ+ম
শ্যshzশ+য
শ্রshrশ+র
শ্লshlশ+ল
ষ্কsfkষ+ক
ষ্ক্রsfkrষ+ক+র
ষ্টsftfষ+ট
ষ্ট্যsftfzষ+ট+য
ষ্ট্রsftfrষ+ট+র
ষ্ঠsftffষ+ঠ
ষ্ঠsftfhষ+ঠ
ষ্ঠ্যsftffzষ+ঠ+য
ষ্ঠ্যsftfhzষ+ঠ+য
ষ্ণsfnfষ+ণ
ষ্ণsfnষ+ণ
ষ্পsfpষ+প
ষ্প্রsfprষ+প+র
ষ্ফsfphষ+ফ
ষ্বsfbষ+ব
ষ্মsfmষ+ম
ষ্যsfzষ+য
স্কskস+ক
স্ক্রskrস+ক+র
স্খskhস+খ
স্টstfস+ট
স্ট্রstfrস+ট+র
স্তstস+ত
স্ত্বstbস+ত+ব
স্ত্যstzস+ত+য
স্ত্রstrস+ত+র
স্থsthস+থ
স্থ্যsthzস+থ+য
স্নsnস+ন
স্পspস+প
স্প্রsprস+প+র
স্প্লsplস+প+ল
স্ফsphস+ফ
স্বsbস+ব
স্মsmস+ম
স্যszস+য
স্রsrস+র
স্লslস+ল
হ্নhnহ+ন
হ্ণhnfহ+ণ
হ্বhbহ+ব
হ্মhmহ+ম
হ্যhzহ+য
হ্রhrহ+র
হ্লhlহ+ল

ডেভেলপারদের জন্য (For Developers)

ক্ষিপ্র পাইথন

  1. Khipro Python Version (ক্ষিপ্র পাইথন সংস্করণ) থেকে লজিক ব্লুপ্রিন্ট ব্যবহার করে ডেভেলপারগণ তাঁদের কিবোর্ডে ক্ষিপ্র ইমপ্লিমেন্ট করতে পারেন।
  2. ক্ষিপ্র-র মূল রিপোজিটরি khipro-m17n সহ অন্যান্য কয়েকটি ল্যাংগুয়েজে ক্ষিপ্র-র যেসব মডিউল তৈরি করা হয়েছে সেগুলোর একটা তালিকা আমাদের ওয়েবসাইটে দেওয়া হয়েছে: https://khiprokeyboard.github.io/#repositories

টাচস্ক্রিনে অ্যাডাপটেশনের জন্য সাজেশন

ক্ষিপ্র কিবোর্ড টাচস্ক্রিনে ইমপ্লিমেন্ট করা হলে শিফট-কি এর জায়গায় সেমিকোলন (;) দেওয়া হবে (যেহেতু শিফট কি প্রয়োজন নেই), এবং স্পেসবারের ডান পাশে ফরোয়ার্ড স্ল্যাশ (/) দেওয়া হবে। এই দুটো বাটনই ক্ষিপ্র লেআউটে ব্যবহৃত হবে।
আর মোবাইল ফোনের কিবোর্ডের জন্য ক্ষিপ্রর ম্যাপিং থেকে নিম্নলিখিত ম্যাপিংগুলো বাদ দিতে হবে। কারণ মোবাইল ফোনে কিবোর্ডগুলোর লোকালাইজ্‌ড ভার্শন থাকে। ফলে এই ম্যাপিংগুলোর প্রয়োজন পড়বে না। ম্যাপিংগুলো হলো:

  1. সংখ্যার ম্যাপিং,
  2. দাঁড়ি, ডাবল দাঁড়ির ম্যাপিং,
  3. টাকা চিহ্ন, রুপি চিহ্নের ম্যাপিং,
  4. গুণ চিহ্ন, ভাগ চিহ্নের ম্যাপিং,
  5. ZWJ, ZWNJ-এর ম্যাপিং,
  6. অঙ্কের ম্যাপিং অর্থাৎ .{অঙ্ক} এর ম্যাপিং,
  7. ডট বা বিন্দুর ম্যাপিং,
  8. বহুবিন্দু বা এলিপসিস বা তিন ডটের ম্যাপিং।